আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল চলে গেলেন

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশের প্রখ্যাত গীতিকার, সুরকার ও মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল আর নেই (ইন্না লিল্লাহি…. রাজিউন)। মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় নিজ বাসায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। আজ ভোট ৪টার দিকে তার পালস্ পাওয়া না যাওয়ায় দ্রুত তাকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (আয়েশা মেমোরিয়াল) নেওয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর তার মরদেহ বাসায় নিয়ে আসা হয়।

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল গত প্রায় এক বছর ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন। গত বছরের মাঝামাঝি তার হার্টে আটটি ব্লক ধরা পড়ে। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। তখন তার হার্টে দুটি রিং পরানো হয়। এরপর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেন তিনি।

তিনি ১৯৫৭ সালের ১ জানুয়ারি মাসে জন্মগ্রহণ করেন। অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গীতিকার এবং সুরকার হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি।

বাংলাদেশের কয়েকশ চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনা করেছেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। এসব গান দর্শকদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এক সময় তার সুর করা গানগুলো ছিল শ্রোতা-দর্শকদের মুখে-মুখে।

তার লেখা এবং সুর করা বহু জনপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন, সৈয়দ আব্দুল হাদী, অ্যান্ড্রু কিশোর, খালিদ হাসান মিলু, কনকচাঁপা, সামিনা চৌধুরী, কনক চাঁপা ও আগুনের মত জনপ্রিয় ও নামী শিল্পীরা।

‘সব কটা জানালা খুলে দাও না’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন’, ‘পড়ে না চখের পলক’, ‘আমার গরুর গাড়িতে বৌ সাজিয়ে’, ‘আম্মাজান আম্মাজান’, ‘ঘুমিয়ে থাকো গো স্বজনী’, ‘চিঠি লিখেছে বউ আমার’ ‘জাগো বাংলাদেশ জাগো’ – এরকম অসংখ্য জনপ্রিয় বাংলা গানের সুর করেছেন তিনি।

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল মাত্র ১৫ বছরে বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশে সংগীতাঙ্গনে অবদানের জন্য তিনি একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার এবং রাষ্ট্রপতির পুরস্কারসহ অন্যান্য অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর